নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সাংসদ, প্রয়াত বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নাসিম ওসমান তনয় আজমেরী ওসমান বলেছেন, অন্যান্য মাসে তো দান করি তবে রমজান মাসে যেকোন ভালো কাজ করতে পারলেও এটার অনুভুতিটা অন্যরকম। বাবাকে দেখেছি তিনি এতিম ও মাদ্রাসার প্রতি অনেক দুর্বল ছিলেন। আর রমজান মাসে তিনি অনেক দান, সদকাও করতেন। আমিও এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার সল্প প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। তাদের পাশে থেকে তাদের দোয়া ও ভালবাসা নেয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু এখন মাদ্রাসার সাথে আমার আত্মার সর্ম্পক হয়ে গেছে। গতকাল জালকুড়ি এলাকাস্থ জামিয়া রাব্বানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় কর্তৃপক্ষের সাথে ইফতারর্পূবক মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এদিকে লোডশেডিং থেকে একটু প্রশান্তির জন্য মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও এতিমদেরকে একটি অত্যাধুনিক জেনারেটর এর ব্যবস্থা করে দেন তিনি। যা আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরী ও শব্দ দূষনের কারণ থেকে পরিবেশ এবং শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষতি থেকে রক্ষা করবে। তাছাড়া উল্লেখিত মাদ্রাসার পাশেই একটি ভন্ড পীরের আস্তানা গড়ে উঠেছিল। যেখানে উচ্চ শব্দে বাদ্য-বাজনা সহ গান করত, এবং নেশার আস্তানায় পরিণত হয়েছিল। মাদ্রাসার মোহতামীম এসব বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত জানালে আজমেরী ওসমান সেখানে গিয়ে তাদের বুঝিয়ে এ থেকে বিরক থাকতে অনুরোধ করেছিলো। এতে করে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা এখন রোজা, নামাজ, আমল করতে কোন বাধাঁর সম্মূখীন হতে হয়না। তাই মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ আজমেরী ওসমানের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
এরপর উল্লেখিত মাদ্রাসার সকল শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নিয়ে একসাথে ইফতার করেন। মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও এতিমদেরকে নিয়ে কুশল বিনিময় করে বেশ কিছুক্ষন হাস্যোজ্জল সময় কাটান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, নাসিম ওসমান স্মৃতি দুস্থ ও জনকল্যান ফাউন্ডেশনের সভাপতি তরিকুল ইসলাম লিমন, জামিয়া রাব্বানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা মুফতি নজরুল ইসলাম ভাসানী (মোহতামিম), মুফতি মাহাদি হাসান মোহাদ্দিস, মুফতি জাহিদুল ইসলাম (শিক্ষা সচিব), মুফতি আমির হামজা (সিনিয়র মোহাদ্দিস)।
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি রাব্বানী নগর এলাকাস্থ জামিয়া রাব্বানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় ৫শত ৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। ২০০৫ সনে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়ে জেলায় র্শীষস্থানে অবস্থান র্অজন করেছে। উল্লেখিত মাদ্রাসাটিতে মকতব থেকে দাওরা হাদিস সহ ইফতা শিক্ষা দেয়া হয়। এছাড়াও প্রতি বছরেই এখান থেকে উচ্চ শিক্ষা শেষে তাঁরা মুফতি, মাওলানা ও হাফিজ হয়ে বিভিন্ন জেলায় কর্মরত আছেন।